সৌদি আরবে পবিত্র হজের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এরইমধ্যে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ১৩ লাখের বেশি মুসল্লি। ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত পবিত্র নগরী।
আগামী বুধবার ৮ জিলহজ মিনার উদ্দেশে রওনা দিয়ে শুরু হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৮ লাখ মুসল্লি হজ পালন করছেন। এর মধ্যে সমুদ্রপথে গিয়েছেন ৫ হাজার ৮৮ জন। বাকিরা গেছেন আকাশপথে। সবথেকে বেশি মুসল্লি এবারও ইন্দোনেশিয়ার।
মসজিদুল হারামে চলছে তাওয়াফ, নামাজ ও কান্নাজড়ানো দোয়া। কেউ কাবা শরিফ স্পর্শ করে প্রার্থনায় মগ্ন, কেউ আবার গুনাহ মাফের আকুতি জানাচ্ছেন। অনেকে নিজ দেশের পাশাপাশি গাজাবাসীর শান্তির জন্যও আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছেন।
হজ নির্বিঘ্ন করতে সৌদি সরকার নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নিরাপত্তা জোরদারে শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার সদস্য। ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (AI) আধুনিক প্রযুক্তি। গরম থেকে রক্ষা পেতে ৫০ হাজার বর্গমিটার এলাকায় ছাউনির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
৮ জিলহজ মিনায় অবস্থানের পরদিন মুসল্লিরা যাবেন আরাফাতে। আরাফাতের দিনকে হজের মূল দিন হিসেবে ধরা হয়। সেখানে দিনভর অবস্থান শেষে রাত কাটাবেন মুজদালিফায়। সেখান থেকে কংকর সংগ্রহ করে ১০ জিলহজ ইদুল আজহার দিন শয়তানকে পাথর মারা হবে। এরপর কোরবানি ও মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে প্রধান আনুষ্ঠানিকতা।
পরে মুসল্লিরা করবেন বিদায়ী তাওয়াফ। আর ১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।